প্রধানমন্ত্রী ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ডিপোজিটরি ফান্ডকে এক্সপোজার লিমিটের বাইরে রাখার দিকনির্দেশনা। এর ফলে শেয়ারবাজারে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে আইসিবির।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
আইসিবি একটি বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দেখভাল করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে গত ১৫ জানুয়ারি বিএসইসির চেয়ারম্যানের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শেয়ারবাজারের উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি যেভাবে বিকশিত হচ্ছে, একইভাবে শেয়ারবাজারকেও বিকশিত করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক পরবর্তীতে বিএসইসি চেয়ারম্যান জানান, ‘শেয়ারবাজার নিয়ে আমাদের যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়নে যেসব নীতি সহায়তা দরকার সেগুলো দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বাজার আরো বড়, সময়োপযোগী ও আধুনিক করতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। উনি আমাকে সমাধান দিয়ে দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেয়ারবাজারে আকর্ষণীয় পণ্য চালু করা হবে। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আমাদের কিছু কর্মসূচি বিলম্বিত হয়েছিল। সেগুলো এ বছরেই করা হবে। শেয়ারবাজার যাতে আরো সমৃদ্ধ হয়, আরো বড় হয়, লেনদেনের পরিমাণ যাতে আরো বাড়ে, সে জন্য অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাপোর্ট দিচ্ছি। শেয়ারবাজার যাতে দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সেটার জন্য আমরা সব পদক্ষেপ নিচ্ছি। লেনদেন আরো বাড়া উচিত।’
উপরন্তু, বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে বন্ডে বিনিয়োগকে শেয়ারবাজার এক্সপোজারের বাইরে রাখতে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ক্যাবিনেট বৈঠকেই আইনটি পাস করা হবে বলে জানা গেছে। আর এটি যেন দ্রুত পাস করা হয়, সে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী।